কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়ার দিগন্তজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। মাঠের পর মাঠে দুলছে রোপা আমন ধান। শরতের হাওয়ায় দুলছে সবুজ ধানের শীষ, যা দেখে আনন্দে ভরে উঠছে কৃষকের মন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর রোপা আমন ধানের আবাদ বেড়েছে। শ্রমিক সংকট থাকলেও আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও কৃষি প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কৃষকরা বিপদে পড়েননি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার পোকার উপদ্রব কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে মাজরা পোকা কৃষকদের শঙ্কায় ফেলেছে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জরিপ, পার্চিং ও আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে পোকা দমনে কাজ করছে তারা। ফলে তুলনামূলক ক্ষতি কম হবে বলে আশাবাদী কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলায় ৮৮ হাজার ৮শ ৮৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে উফশী জাতের ৭৯ হাজার ৪শ হেক্টর, হাইব্রিডের ৮ হাজার ৩শ ৩৫ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর জমি ছিল। কিন্তু বাস্তবে চাষ হয়েছে ৮৮ হাজার ৮শ ৯৫ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। স্থানীয় কৃষক হাশেম আলী জানান, “ধান মাঠে বেশ ভালো হয়েছে। তবে মাজরা পোকার আক্রমণ খুব বেশি। বিষ দিয়েও যেন কাজ হচ্ছে না।” ফরিদুল ইসলাম বলেন, “কিছুদিন আগেও জমিতে গেলে মন ভরে যেত। এবার ভালো ফলনের আশা করেছিলাম। তবে পোকার কারণে ফলন কিছুটা কম হতে পারে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃষক সবুজ হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর মাজরা পোকার আক্রমণ বেশি হলেও ফলনে তেমন ক্ষতি হবে না। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রূপালী খাতুন জানান, “জলবায়ুর কারণে এবছর পোকা কিছুটা বেশি দেখা দিয়েছে। তবে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকায় বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পোকায় ক্ষতি তুলনামূলক কম হবে।” তিনি আরও বলেন, “কৃষকদের উপকারী ও ক্ষতিকর পোকা চিনে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কীটনাশকের অতি ব্যবহার কমিয়ে জৈব ও আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, “এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপা আমন আবাদ হয়েছে। ধান পরিচর্যা কৃষকরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। আশা করছি উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। সবুজ ধানের মাঠে দোল খাওয়া এই দৃশ্য কৃষকদের মুখে যেমন হাসি ফোটাচ্ছে, তেমনি পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে ভালো ফসল ঘরে তোলার প্রত্যাশায় বুক বাঁধছেন তারা।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |