কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মনোয়ারা খাতুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সর জমিনে গিয়ে দেখা যায় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তার চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছেন ভুমি সেবা গ্রহীতারা বাইরে অপেক্ষা করছেন। এরূপ ঘটনা নিত্যদিনের, মাসোয়ারা ছাড়া তার নিকট হতে সেবা নেয়া দুর্বিষহ ব্যাপার। এলাকাবাসী ও সেবা গ্রহণকারীদের একাংশের দাবিতে এসব অভিযোগ দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণের অভিযোগ—সঠিক কাগজপত্র ও সময়মতো আবেদন জমা দেওয়া সত্ত্বেও মনোয়ারা খাতুন নানা অজুহাতে ফাইল আটকে রাখেন। অনেক সময় ন্যায্য সেবা পেতে ঘুষ দিতে বাধ্য হন তারা। অভিযোগ রয়েছে, নামজারি, মিসকেস, দাখিল খারিজ কিংবা ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনা সংক্রান্ত কাজেও নির্ধারিত সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা হয়। স্থানীয় একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বলেন, "আমার জমির খতিয়ান সংশোধনের জন্য এক মাস ঘুরেছি, কোনো লাভ হয়নি। পরে মোটা অঙ্কের টাকা দিলে কাজটা একদিনেই হয়ে যায়।" আরেকজন সেবা প্রার্থী বলেন, "সরকারি অফিস মানেই দুর্নীতির আশ্রয়স্থল হয়ে গেছে। মনোয়ারা খাতুনের মতো কর্মকর্তা এ চিত্রকে আরও প্রকট করে তুলেছেন।"অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন দলিলপত্র অনুমোদনের সময় কৌশলে প্রকৃত তথ্য গোপন রেখে প্রভাবশালী মহলের পক্ষ নেওয়া হয়। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের সুপারিশ ছাড়া সাধারণ জনগণের আবেদন আমলে নেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ ওঠেছে। ভূমি অফিসের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী বলেন, "ম্যাডামের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও কেউ মুখ খুলতে চায় না। কারণ, অভিযোগ করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়।" কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, "যদি প্রমাণিত হয় যে সহকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি করেছেন, তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।" এদিকে, স্থানীয় সুশীল সমাজ ও নাগরিক সংগঠনগুলো এই দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |